মহানবি সাঃ এর পিবিত্র মুখের লালা।
gnvbwe mvt Gi cweÎ gy‡Li jvjv|
মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতি সহ সারা বিশ্বের সকল কিছুর জন্য রহমত হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন। শুধু উনার শিক্ষা এবং আদর্শ ই কেবল মানুষের জন্য শান্তি ও বরকতের উৎস ছিলো না বস্তুত পক্ষে উনার সকল কিছূই ছিলো মানুষের জন্য উপকারী । আল্লাহপাক উনার মধ্যে অপকারী কোন কিছুই রাখেন নি ।
এমনি এক আশ্চর্য মুজিজা হলো মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র মূখের লালা । সাধারণতঃ দেখা যায় একজন মানুষের মুখের লালা আরেকজন মানুষের জন্য কোন উপকার বয়ে আনেনা । আর যদি মানুষটি অসুস্থ বা অপরিস্কার হয় তাহলে তো তা অবশ্যই ক্ষতিকর ।
মহানবী (সাঃ) এর লালা ছিলো ব্যতিক্রম বরং উনার মুখের লালা ছিল অসুস্থ ব্যক্তির জন্য শিফা বা রোগ মুক্তির উছিলা।
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে - হযরত সাহাল ইবনে সাদ(রাঃ) হইতে বর্নীত আছে যে , খায়বর যুদ্ধের সময় নবী করীম (ছঃ) বলেন , আগামীকাল এই পতাকা আমি এমন একজনের হাতে দিব যাহার হাতে খয়বরকে আল্লাহ বিজয় দান করবেন । যেই লোক আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলকে ভালবাসে , আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলও সেই লোককে ভালবাসে। হযরত সাহাল (রাঃ) বলেন , সকালে কার হাতে পতাকা দেওয়া হবে এই চিন্তায় লোকেরা সারারাত কাটায়া দিলো । সকালে সবাই নবীজির নিকট সমবেত হইলে । সবাই কামনা করছিলো যে পতাকা তাকে প্রদান করা হউক ।
নবী করীম(ছঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন আলী ইবনে আবু তালেব কোথায় ? লোকেরা বল্ল তার চোখ যন্ত্রনাকরছে । নবীজি একজন লোক দিয়ে হযরত আলি (রাঃ)কে ডেকে পাঠালেন।এবং পবিত্র মুখের খানিকটা লালা হযরত আলী (রাঃ) এর চোখে লাগিয়ে দিলেন ও দোয়া করলেন । সাথে সাথে এমনভাবে চোখ ভাল হয়ে গেল যেন চোখে কোন যন্ত্রনাই ছিল না । নবী করীম(সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) - এর হাতে পতাকা অর্পন করলেন ।
পতাকা নিয়ে হযরত আলী (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন , হে আল্লাহর রাসূল ¡ আমি কি শত্রুদের সহিত এমনভাবে লড়াই করব যে , তারা আমাদের মত হয়ে যায় ?নবীজি সাঃ বল্লেন শান্তভাবে অগ্রসর হও । তাদের ময়দানে যাওয়ার পর প্রথমে তাদেরকে ইসলাম গ্রহনের দাওয়াত দিবে । ইসলাম গ্রহনের পর আল্লাহর কি কি হুকুম তাহাদের উপর ওয়াজিব হবে সেই সম্পর্কে তাদিগকে অবহিত করবে ।
আল্লাহর কছম তোমার উছিলায় আল্লাহ যদি একজন মানুষকে হেদায়েত নসীব করেন তবে তা তোমার জন্য লাল উটসমূহ অর্জনের চেয়ে অধিক কল্যাণকর বিবেচিত হইবে ।
Comments
Post a Comment